India's Independence and Swami Vivekananda
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও স্বামী বিবেকানন্দ
খালি পেটে ধর্ম হয় না, ক্ষুধার্ত জনগণকে ধর্ম উপদেশ দেয়া অবমাননাকর।
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও স্বামী বিবেকানন্দ
ভারতবর্ষ আমাদের দেশ, প্রায় দুইশত বৎসর পরাধীনতার চরম গ্লানি ভোগ করেছে। শখ, হুন, পাঠান, মোগল, ব্রিটিশ আমাদের ওপর যুগ যুগ ধরে প্রভুত্ব করেছে আর আমরা তাদের ক্রীতদাসে পরিণত হয়ে তাদের তোষামোদকারী দাসত্বের জীবন কাটিয়েছি। অভাবে - অর্ধাহারে - অনাহারে - কষাঘাতে জর্জরিত হয়ে স্বাধীনতার মর্ম হারিয়ে ফেলেছি। সেই সময় “স্বাধীনতা” খাবার জিনিস না গায়ে মাখে সেই বোধটুকুও আমাদের ছিল না।
মার খেতে খেতে সবকিছু হারাতে হারাতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে যা হয়- প্রাকৃতিক নিয়মেই মানুষের সংগ্রামের সত্তা জাগ্রত হতে শুরু করলো বিচ্ছিন্নভাবে।
এইভাবে প্রায় একশত বছরের দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা সংগ্রামের বিভিন্ন পর্বের ইতিহাস আমরা জানি। কত বিদ্রোহ - মহাবিদ্রোহের রোমহর্ষক - রক্ত হিম করা ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে।
ব্রিটিশ সভ্যতা তিনটি ব এর সমষ্টি – বাইবেল, বেয়নেট ও ব্র্যাণ্ডি।
নীল বিদ্রোহ, ওয়াহাবি আন্দোলন, সাঁওতাল বিদ্রোহ আরো কত প্রাদেশিক আন্দোলনের মাধ্যমে ইংরেজদের দুর্বল করার দুর্বার রক্তক্ষয়ী প্রয়াস হয়েছে। সেসকল ইতিহাসই তো সবার জানা। তারই মধ্যে স্বাধীনতা সংগ্রামের বিভিন্ন পর্বের যৎসামান্য পর্যালোচনার সুযোগে মূল বিষয়টি হলো, ১৮৮৫ সালে হিউমের নেতৃত্বে জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা হয়। তখন স্বাধীনতা আন্দোলন বা ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়বার একটা প্রবণতা থাকলেও তা ছিল অসংগঠিত ও ছোট ছোট দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ। সংগঠিত শক্তিশালী আন্দোলন তখনও গড়ে উঠতে পারেনি। এই সময় ভারতবাসী সংঘবদ্ধ হয়ে সুদুরপ্রসারী চিন্তা ভাবনা নিয়ে জাতীয় কংগ্রেস নামক একটা প্লাটফর্ম তৈরি করে তার মাধ্যমে তাদের আবেদন নিবেদন ইংরেজ শাসকদের কাছে পেশ করার একটা পথের সুযোগ করে নিল বা সুযোগ পেল। তবে তা কেবল মাত্র prayers and petition policy এর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। তখনো কিন্তু জনমানসে আন্দোলনের নেতারা বৃহত্তর জাতীয় আন্দোলনের লেলিহান শিখা প্রজ্বলিত করতে পারেননি, তখনো ভারতবাসী তাদের ভয়-ভীতি পূর্ণ নিদ্রাচ্ছন্ন অবস্থা কাটাতে পারেনি।
হে ভারত ভুলিও না মেথর, মুচি চণ্ডাল তোমার ভাই…
এই সময় ১৮৯৩ সালে নবজাগরণের অগ্রদূত স্বামী বিবেকানন্দের চিকাগো বিজয় ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক বিশেষ এবং গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের এক শুভ সূচনা করে। এই সময় থেকে ভারতের স্বাধীনতা প্রাপ্তি পর্যন্ত সময়কে জ্ঞানী বিদগ্ধজনেদের কথায় তৃতীয় পর্ব বা মহাপর্ব বলা হয়।
ঠিক এই সময় একদিকে মহামান্য তিলক, লালা লাজপত রায়, শ্রী অরবিন্দ প্রভৃতি নেতৃবৃন্দ ভাবতে শুরু করেছেন যে, আর নয়-আর prayas and petition এর মাধ্যমে ইংরেজদের কাছে আবেদন নিবেদন নয়, এবার যথার্থ প্রত্যক্ষ সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়ে কঠিন সংগ্রামের মাধ্যমে আমাদের যথার্থ প্রাপ্য অধিকার অর্জন করতে হবে। অপরদিকে স্বামীজী বললেন জীবনে পরম সত্য এই : শক্তিই জীবন, দুর্বলতাই মৃত্যু। শক্তিই সুখ ও আনন্দ, শক্তিই অনন্ত ও অবিনশ্বর জীবন; দুর্বলতাই অবিরাম দুঃখ ও উদ্বেগের কারণ; দুর্বলতাই মৃত্যু। বললেন have faith in yourself, all power is in you. Be cautious and bring it out. তিনি বললেন-সাহস অবলম্বন কর্। সিংহ গর্জনে আত্মার মহিমা ঘোষণা কর্, জীবকে অভয় দিয়ে বল “উত্তিষ্ঠত জাগ্রত প্রাপ্য বরাণ্ নিবোধত্” -Arise! Awake! and stop not till the goal is reached••• (ওঠো, জাগো, লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত থেমো না )।
There is no chance for the welfare of the world unless the condition of women is improved.
![]() |
Woman has suffered for aeons, and that has given her infinite patience and infinite perseverance
স্বামীজি তাঁর উদাত্ত আহ্বানে সকল দেশবাসীকে এক নতুন স্বদেশপ্রেমের মন্ত্রে দীক্ষিত করলেন, দেশমাতৃকার বেদী মূলে সকল স্বদেশবাসীকে তার শৃংখল মুক্তির জন্য প্রাণ পর্যন্ত বলিদানে অনুপ্রাণিত করলেন; এক নতুন স্বদেশ প্রেমের জোয়ার বয়ে যেতে থাকলো। নরমপন্থী, চরমপন্থী, সশস্ত্র, সকল রাজনীতিবিদেরা স্বামীজীর প্রতি, তার আদর্শের প্রতি অনুপ্রাণিত হলেন।
স্বামীজি চেয়ে ছিলেন ভারতবর্ষের শাসন কার্য পরিচালিত হবে 'For the people, of the people, and by the people' - তাইতো তিনি প্রকৃত মানুষ তৈরীর কাজে আজীবন ব্রতী ছিলেন। মানুষের আভ্যন্তরীণ বিকাশ, মানুষের আত্মবিশ্বাস ও আত্মশক্তির জাগরণের জন্য নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। মুক্ত মনের মানুষ তৈরি করাই হল আসল বিপ্লবের মূল লক্ষ্য! স্বামীজীর নুতন সমাজদর্শন ভারতের স্বাধীনতার পূর্বে ও পরে সমানভাবেই একান্ত আবশ্যক।
স্বামীজীকে আশ্রয় করে আমাদের উচিত তার আদেশ-উপদেশ পালন করা। আমাদের উচিত যে যার ক্ষেত্র তাতে সঠিক ইতিবাচক দায়িত্ব পালন করা। সর্বক্ষণ সমস্যা নিয়ে চর্চা করে গেলে ও সমস্যার কথা বলে গেলে সমস্যা বাড়বে - কমবে না। সমস্যা তো আসবেই তাই সমস্যার ওপরে চর্চা না করে সমাধানের উপরে আলোচনা এবং কর্ম করতে হবে।
শ্রীঅরবিন্দ, গান্ধীজী, নেহেরু, নেতাজি থেকে শুরু করে কতশত সত্যাগ্রহী সংগ্রামী প্রাণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল স্বামীজীকে অবলম্বন করে।
এ দেশের (আমেরিকা) স্ত্রীদের মত স্ত্রী কোথাও দেখিনি … এরা কেমন স্বাধীন। এদের মেয়েরা কি পবিত্র। ২৫-৩০ বছরের কমে কারুর বিয়ে হয় না। আর আমরা কি করি? আমার মেয়ের ১১ বৎসরে ‘বে’ না হলে খারাপ হয়ে যাবে! আমরা কি মানুষ?’
The idea of perfect womanhood is perfect independence
স্বামীজি চেয়ে ছিলেন ভারতবর্ষের শাসন কার্য পরিচালিত হবে 'For the people, of the people, and by the people' - তাইতো তিনি প্রকৃত মানুষ তৈরীর কাজে আজীবন ব্রতী ছিলেন। মানুষের আভ্যন্তরীণ বিকাশ, মানুষের আত্মবিশ্বাস ও আত্মশক্তির জাগরণের জন্য নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। মুক্ত মনের মানুষ তৈরি করাই হল আসল বিপ্লবের মূল লক্ষ্য! স্বামীজীর নুতন সমাজদর্শন ভারতের স্বাধীনতার পূর্বে ও পরে সমানভাবেই একান্ত আবশ্যক।
প্রথমে তোমাদের নারী জাতিকে শিক্ষিত করে তুলে তাদের ব্যাপার তাঁদের উপরেই ছেড়ে দাও; তখন তারাই তোমাদেরকে বলবে তাঁদের জন্য কোন কোন সংস্কার প্রয়োজন। তাদের ব্যাপারে তোমরা মাথা গলাবার কে?’
স্বামীজি ভারতবর্ষকে সমগ্র বিশ্বের কাছে ইতিবাচক (positive) ভাবেই পরিচিত করেছেন--আমরা সেটা কি অস্বীকার করতে পারি? না করব?
ভারতের স্বাধীনতার কাল প্রায় ৭৩ বৎসর হতে চলল। আমরা আজকে সেই সাত রাজার ধন এক মানিক স্বাধীনতাকে অম্লান - অক্ষুন্ন - উজ্জ্বল রাখার ব্রত ভুলতে বসেছি? আজকাল অনেকের মুখেই বলতে শুনি - আক্ষেপ করতে দেখি - “স্বাধীন হয়ে আমরা কী পেলাম ? আমরা কি অর্থনৈতিক স্বাধীনতা পেয়েছি? আমরা কি এই স্বাধীনতা চেয়েছিলাম” ? প্রায় সর্বত্র একটা হতাশার সুর। আচ্ছা! আমরা কি আজ শহীদ ক্ষুদিরাম, প্রফুল্ল চাকী, আলাউদ্দিন শেখ, বিনয়, বাদল, আহমদউল্লাহ, দীনেশ, ভগৎ সিং, মাতঙ্গিনী হাজরা, আশফাকুল্লা খান, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু সহ সেই সব বীর স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কথা ভুলে গেছি? আমরা কি আজ স্বামীজীকে - তার উপদেশ বাণী সকল ভুলতে বসেছি? ভুলতে বসেছি কতশত স্বাধীনতা সংগ্রামীদের - যারা তাদের জীবন পর্যন্ত হাসিমুখে বলিদান দিয়েছেন ভারত মাতার স্বাধীনতার জন্য! যারা সবকিছু ত্যাগ করে গেল বিনিময় পেল না কিছুই! যারা চাইনি কিছুই দেশমাতৃকার স্বাধীনতা ছাড়া! আজ সেসব ভুলে এই স্বাধীনতার মানকে খর্ব করতে চাইছি আমরা? আমরা কি আমাদের দেশে প্রতি প্রকৃত কর্তব্য পালন করছি?
The best thermometer to the progress of a nation is its treatment of its women
আমরা স্বাধীন হয়েছি। সেই স্বাধীনতা রক্ষা করা, তার মান-মর্যাদার উন্নতি সাধন করা এখন আমাদের অবশ্য দায়িত্ব ও কর্তব্য। সেই দায়িত্ব পালন, কর্তব্য পালন কি আজ আমরা করছি?
দেশমাতাতো তার সবকিছুই আমাদের দিচ্ছেন! স্বর্ণ-শস্য-নদী-সমুদ্র-পর্বত-অরণ্য-জাহ্নবী বারী সব সব ধনভান্ডার - সবকিছুই তো তিনি আমাদের দিয়েছেন! আর আমরা কিনা শুধু নেতিবাচক (negative) সমালোচনা করছি! শুধুই চাওয়া-পাওয়ার হিসেব করছি ?
![]() |
Click The Photo to read more about Swamiji in brief |
হে ভারত ভুলিও না তোমার নারীজাতির আদর্শ সীতা, সাবিত্রী ও দয়মন্তি’
স্বামীজীকে আশ্রয় করে আমাদের উচিত তার আদেশ-উপদেশ পালন করা। আমাদের উচিত যে যার ক্ষেত্র তাতে সঠিক ইতিবাচক দায়িত্ব পালন করা। সর্বক্ষণ সমস্যা নিয়ে চর্চা করে গেলে ও সমস্যার কথা বলে গেলে সমস্যা বাড়বে - কমবে না। সমস্যা তো আসবেই তাই সমস্যার ওপরে চর্চা না করে সমাধানের উপরে আলোচনা এবং কর্ম করতে হবে।
আসুন আমরা এই স্বাধীনতাকে তুচ্ছজ্ঞান না করে আমাদের দেশকে শ্রেষ্ঠ স্বাধীন ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবে পৃথিবীর বুকে জাজ্জ্বল্যমান করে রাখার ব্রত পালন করি।
এইজন্য স্বামীজীর অমোঘ বাণী, উপদেশ কে পাথেয় করি। ত্যাগ ও সুকর্মের মাধ্যমে ভারত মাতার পরাধীনতার ক্ষত পুরোপুরি নিরাময় করে তোলাই হবে আমাদের ইতিবাচক কর্তব্য। মানুষের মধ্য থেকে জাত-পাত, ভাষা, ধর্ম বা যেকোন প্রকার বিভেদ সর্বোপরি দূর করতে হবে। নারী-পুরুষ বিশেষ করে তরুণতরুণী সর্বস্তরের মানুষকে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলকে দেশমাতার চোখের জল মুছিয়ে তার মুখ সদাহাস্যময়ী করে তুলতে এগিয়ে আসতেই হবে। কত শত শত প্রাণ বলিদান কারি স্বাধীনতা সংগ্রামী নারী পুরুষ আজও আমাদের দিকে করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ভারত মাতার সদা হাস্যময়ী রূপটি দেখার জন্য ।
প্রার্থনা করি ও আশা রাখি যে অতি সত্বর আমাদের সুমহান ভারত বর্ষ তার সুদীর্ঘ পরাধীনতার ক্ষত থেকে সম্পূর্ণ রূপে নিরাময় লাভ করবে এবং ভারত বর্ষ তার চিরন্তন সংস্কৃতি – ঐতিহ্য – বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ, সারদা মা, স্বামী বিবেকানন্দ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রমুখ মহান- মহীয়সীদের আদর্শকে অবলম্বন করে সত্তিকারের পূর্ণ স্বাধীনতার লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে এবং “ভারত আবার জগত সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে”।।
World Famous Speech of Swami Vivekananda
11th, September; 1893 - Chicago
1th. September, 1893; World's Parliament of Religions -
Swami Vivekananda's world famous speech.
Belur Math HQ Ramakrishna Math & Ramakrishna Mission
Click Here on this text to open Official website of Belur Math
বীরেশ্বর – স্বামী বিবেকানন্দের সংক্ষিপ্ত জীবন পঞ্জি :
রাজনীতিবিদ, খেলোয়াড়, অভিনেতা প্রভৃতি স্বনামধন্য ব্যক্তিগণের জীবনপঞ্জি নিয়ে প্রতিনিয়তই নানা পত্রপত্রিকা, সভা - সমাবেশে আলোচিত হয়। এখন আমি জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলের অতি একান্ত আপনজন বীরেশ্বর বিবেকানন্দের জীবনপঞ্জি সংক্ষেপে তুলে ধরছি --
- আবির্ভাব : পৌষ সংক্রান্তি, ১২৬৯; ইং১২ই জানুয়ারি ১৮৬৩;
- জন্মস্থান : শিমুলিয়া পল্লী, কলকাতা;
- পিতা : খ্যাতনামা আইনজীবী শ্রী বিশ্বনাথ দত্ত;
- মাতা : ভুবনেশ্বরী দেবী;
- বাল্যকালের নাম : বীরেশ্বর (বিলে) এবং নরেন্দ্র;
- ১৮৭৯ খ্রি: : প্রবেশিকা পরীক্ষা;
- ১৮৮১ খ্রি: : নভেম্বর মাসে শ্রীরামকৃষ্ণের প্রথম দর্শন এবং এফ-এ পরীক্ষা;
- ১৮৮৪ খ্রি: : স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে বি-এ পরীক্ষা, ওই বছরেই বি-এ পরীক্ষার ফল প্রকাশের পূর্বে পিতৃবিয়োগ;
- ১৮৮৬ খ্রি: : ১৬ই আগস্ট সকালে শ্রীরামকৃষ্ণের তিরোধান;
- ১৮৮৭ খ্রি: : জানুয়ারিতে সন্ন্যাসব্রত গ্রহণ;
- ১৮৮৮ খ্রি: : জুন – নভেম্বর, তীর্থ ভ্রমণ-বারানসি এবং উত্তর ভারতের কয়েকটি স্থানে ভ্রমণ;
- ১৮৮৯ খ্রি: : ডিসেম্বর এ বরানগর মঠে প্রত্যাবর্তন এবং ওই স্থানে বাস;
- ১৮৯০ খ্রি: : জানুয়ারি – গাজীপুর পওহরি বাবার দর্শন; জুলাই – অযোধ্যা, ভাগলপুর, নৈনিতাল, আলমোড়া, বৈদ্যনাথ ধাম, রুদ্রপ্রয়াগ, শ্রীনগর, টি হরি, দেরাদুন, হৃষিকেশ, সাহারানপুর, মিরাট প্রভৃতি স্থানে ভ্রমণ। সঙ্গে ছিলেন অখন্ডানন্দজি। এইবার আরম্ভ হল ঠিক ঠিক প্রব্রজ্যা, নিঃসম্বল অবস্থায়;
- ১৮৯১ খ্রি: : জানুয়ারি – দিল্লী গমন। ফেব্রুয়ারি – আলোয়ার রাজ্যে গমন, আলোয়ারের রাজা মঙ্গল সিং তাঁর ভক্ত হলেন। মার্চ – আজমির, আবু পাহাড়, খেতরী, পুনরায় আজমির, আহমেদাবাদ, জুনাগড়, গিরনার পর্বত, প্রভাস তীর্থ, সোমনাথ মন্দির, পোরবন্দর, দ্বারকা, মান্ডবী দর্শন;
আমরা যে মন্দির প্রতিষ্ঠা করার কথা বলিতেছি উহা অসাম্প্রদায়িক হইবে, উহাতে সকল সম্প্রদায়ের শ্রেষ্ঠ উপাস্য ওঙ্কারেরই কেবল উপাসনা হইবে। যদি কোন সম্প্রদায়ের ওঙ্কারোপসনায় আপত্তি থাকে, তবে তাহার নিজেকে হিন্দু বলিবার অধিকার নাই।
- ১৮৯২ খ্রি: : জুলাই – বোম্বাই / মুম্বাই, পুনা, বাল গঙ্গাধর তিলকের বাড়িতে অবস্থান, মহীশূর রাজের অতিথি; কোচিন হয়ে ত্রিবাঙ্কুর, ত্রিবান্দ্রম এবং রামনাদ ভ্রমণ। রামনাদের রাজা কে দীক্ষা প্রদান। কন্যাকুমারী সর্বশেষ শিলাখণ্ডে উপবেশন;
- ১৮৯৩ খ্রি: : ফেব্রুয়ারি – হায়দ্রাবাদ গমন । অতিথি, কোচিন হয়ে ত্রিবাঙ্কুর, ত্রিবান্দ্রম এবং রামনাদ ভ্রমণ। রামনাদের রাজা কে দীক্ষা প্রদান। কন্যাকুমারীর সর্বশেষ শিলাখণ্ডে উপবেশন;
- ১৮৯৩ খ্রি: : ফেব্রুয়ারি – হায়দ্রাবাদ গমন। ৩১শে মে – পেনিনসুলার জাহাজে বোম্বাই / মুম্বাই থেকে আমেরিকা যাত্রা। কলম্বো, পিনাক, সিঙ্গাপুর, হংকং, জাপান প্রভৃতি স্থান হয়ে ১৬ই জুলাই ভাঙকুবরে নামলেন। ১১ই সেপ্টেম্বর - শিকাগো ধর্ম মহাসভায় প্রথম বক্তৃতা । ১৯,২০ এবং ২৬শে সেপ্টেম্বর - হিন্দু ধর্মের মূল তত্ত্ব প্রচার। অক্টোবর – নভেম্বর—আমেরিকার এক বক্তৃতা কোম্পানি তাঁকে চিকাগোর উপকন্ঠে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য চুক্তি করেন;
- ১৮৯৪ খ্রি: : ফেব্রুয়ারি – ডেট্রয়েট, মার্চ- চিকাগো, এপ্রিল – নিউইয়র্ক, মে – বোস্টন, অক্টোবর – বাল্টিমোর, ওয়াশিংটন, নভেম্বর – চিকাগো, ডিসেম্বর – ব্রুকলিন;
- ১৮৯৫ খ্রি: : নিউইয়র্কে একটি বাড়ি স্থায়ীভাবে ভাড়া করেন। রাজযোগ ও জ্ঞানযোগের ধারাবাহিক বক্তৃতা, শিষ্য-মন্ডলী গঠন,দুই জনকে সন্ন্যাস দান, মেইন ক্যাম্প ও সহস্র দীপোদ্যানে বাস ও বক্তৃতা দান করেন। আগস্ট মাসে প্যারিস হয়ে লন্ডন। লন্ডনে মার্গারেট নোবেলের (পরবর্তীতে নিবেদিতা) সঙ্গে সাক্ষাৎ। ডিসেম্বরে বোস্টন যাত্রা। এখান থেকেই শর্ট হ্যান্ড লেখক গুডউইন স্বামীজীর সঙ্গে সর্বদাই থাকতেন;
আমাদের নারীগণকে আধুনিক-ভাবে গড়িয়া তুলিবার যে সকল চেষ্টা হইতেছে সেইগুলির মধ্যে যদি সীতা-চরিত্রের আদর্শ হইতে ভ্রষ্ট করিবার চেষ্টা থাকে, তবে সেগুলি বিফল হইবে। … ভারতীয় নারীগণকে সীতার পদাঙ্ক অনুসরণ করিয়া নিজেদের উন্নতি বিধানের চেষ্টা করিতে হইবে। ইহাই একমাত্র উন্নতির পথ
- ১৮৯৬ খ্রি: : নিউইয়র্ক বেদান্ত সভা স্থাপন। কয়েকজনকে ব্রহ্মচর্য দীক্ষা ও সন্ন্যাস দান করেন। মার্চ – বোস্টন ও নিউ ইয়র্ক যাতায়াত। স্বামী সারদানন্দ লন্ডনে এসে স্বামীজীর সঙ্গে মিলিত হলেন। মে – ম্যাক্সমুলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, জেনেভা ও সুইজারল্যান্ড দর্শন, দার্শনিক পল ডয়সনের সঙ্গে সাক্ষাৎ। ডিসেম্বর- সেভিয়ার দম্পতিসহ স্বদেশ যাত্রা, ডোভার, ক্যালে, মন্টসেনিস্, পইসা হয়ে রোম এবং সেখান থেকে নেপলস্ ।৩১শে ডিসেম্বর ভারত যাত্রা;
- ১৮৯৭ খ্রি: : জানুয়ারি – ১৫ই কলম্বো, ২৫শে পাম্বান রামেশ্বর মন্দির দর্শন। মাদুরা, ত্রিচিনপল্লি, তাঞ্জোর, কুম্ভ কোলম্, মাদ্রাজ হয়ে জাহাজে কলিকাতা অভিমুখে যাত্রা ১৫ই ফেব্রুয়ারি। ২০শে ফেব্রুয়ারি খিদিরপুর জাহাজ ঘাট থেকে স্পেশাল ট্রেন সহযোগে শিয়ালদহ স্টেশন; ২৬ শে ফেব্রুয়ারি – কলিকাতাবাসির পক্ষ থেকে অভিনন্দন সভা। ১ লা মে - বলরাম ভবনে রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা। আগস্ট মাসের শেষভাগে বেরিলি হয়ে আম্বালা, লাহোর, অমৃতসর, রাওয়ালপিন্ডি ও পড়ে কাশ্মীর ভ্রমণ;
- ১৮৯৮ খ্রি: : জানুয়ারি – খেতরি, আজমির, যোধপুর, ইন্দোর, খাণ্ডোয়া। ৩ রা ফেব্রুয়ারি – বেলুড়ে ২২(বাইশ) বিঘা জমি ক্রয়। ৯ই ডিসেম্বর - বেলুড় মঠ প্রতিষ্ঠা;
- ১৮৯৯ খ্রি: : প্রথমার্ধ – প্লেগ ও মহামারী সেবা কার্য। জুন মাসে গোলকুণ্ডা জাহাজে দ্বিতীয় বার পাশ্চাত্য যাত্রা, সঙ্গে স্বামী তুরীয়ানন্দ ও ভগিনী নিবেদিতা;
- ১৯০০ খ্রি: : জানুয়ারি – ফেব্রুয়ারি—লস্ এঞ্জেলস্, প্যাসিডোনা, ওকল্যান্ড, সান ফ্রান্সিস্কো। জুন – নিউইয়র্ক। জুলাই – প্যারিসের প্যারি প্রদর্শনী দর্শন। অক্টোবর – প্যারিস ছেড়ে ভিয়েনা হয়ে কনস্টান্টিনোপল, সেখান থেকে এথেন্স, মিশর প্রভৃতি স্থান দেখে ভারতে প্রত্যাবর্তন এবং ৯ই ডিসেম্বর রাত্রে বেলুড় মঠ পৌছলেন;
- ১৯০১ খ্রি: : মার্চ – ঢাকা, দেওভোগ, লাঙ্গলবন্দ হয়ে কামাখ্যা দর্শন;
বহুরূপে সম্মুখে তোমার, ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর জীবে প্রেম করে যেই জন, সে জন সেবিছে ঈশ্বর
- ১৯০২ খ্রি: : ৪ঠা জুলাই বেলুড়মঠে তিরোধান ।।
Author: Lion Er. Santi Nath Ghosh
Contact: Author By Clicking the
Facebook Button Below.

Click Here on this text to open Official website of Belur Math

Belur Math HQ Ramakrishna Math & Ramakrishna Mission
Click Here on this text to open Official website of Belur Math
Please view the Following Wonderful Documentary
by
Chicago Speech of Swami Vivekananda
- By Chicago people | A Short Film
Please leave your comments below in the box. Please leave your reactions as well. Liked it! please share it on various social media using the buttons just below on this page itself.
Jai Hind Hai Bharat
0 Comments
No Spamming here!
EmojiPlease do not post any spam links in the comment box.